Recent post

মোলাস্কা : পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য, আকার আকৃতি, শ্রেণীবিভাগ ইত্যাদি বিস্তারিত

 পর্বঃ মলাস্কা:

Mollusca - Animal Phylums

মলাস্কা  হলো অমেরুদন্ডী প্রাণীর পর্ব। এই পর্বের অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক। এরা অধিকাংশ অগভীর জলে বসবাস করে। এই পর্ব সবচেয়ে বৃহত্তম সামুদ্রিক অমেরুদন্ডী
 প্রাণীর প্রজাতি। এই পর্বের 84977(Zhang 2013) প্রজাতি রয়েছে। মলাস্ক হলো পৃথিবীর বৃহত্তম সামুদ্রিক , নামযুক্ত সমস্ত সামুদ্রিক জীবের প্রায় 23% সমন্বিত।

Mollusca

শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য:
  1. এদের দেহ নরম। নরম দেহটি শক্ত খোলস ম্যান্টল দিয়ে আবৃত।
  2. পেশিবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে।
  3. বহিঃত্বক ,ফুসফুস বা ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
  4. এরা বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাণী।
  5. এরা অধিকাংশই সামুদ্রিক।
  6. সিলোমেট,অধিকাংশ দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম।
  7. রক্তে হিমোসায়ানিন (haemocyanin) ও অ্যামিবোসাইট (amoebocyte) কণিকা থাকে।
  8. দেহে ম্যান্টল নামক পাতলা আবরণ থাকে।
Gastropoda - Wikipedia


নেমাটোডা : পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য, আকার আকৃতি, শ্রেণীবিভাগ ইত্যাদি বিস্তারিত

 পর্বঃনেমাটোডা:

Topic: Nematode (Round worms) - online presentation

নেমাটোডা প্রাণিজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্ব। গ্রিক শব্দ Nema অর্থ Thread তথা সূতা এবং Eidos অর্থ Form তথা আকার থেকে নেমাটোডা শব্দটি এসেছে। এরা একলিঙ্গ প্রাণী।

শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য:
  1. দেহ নলাকার বা সুতোর মতো, অখণ্ডিত, দু-প্রান্ত সুচালো।
  2. দেহ দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম এবং শক্ত কিউটিকল দিয়ে ঢাকা।
  3. এরা ত্রিস্তর বিশিষ্ট (Triplobalstic) প্রাণী অর্থাৎ এদের ভ্রূণে তিনটি জার্মিনাল (Germinal) স্তর দেখতে পাওয়া যায়।
  4. দেহ-গহ্বরকে সিউডো-সিলোম (pseudo-coelom) বা ছদ্ম দেহগহ্বর বলে।
  5. অন্ত্র সরল প্রকৃতির ও পায়ুছিদ্র বর্তমান।
  6. শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত।
  7. কয়েকটি রেচননালি দিয়ে রেচনতন্ত্র গঠিত হয়।
  8. একটি নার্ভ-রিং বা স্নায়ু-অঙ্গুরী অন্ত্রকে ঘিরে থাকে এবং এখন থেকে স্নায়ু সামনের দিকে ও পিছনের দিকে সরবরাহ হয়।
  9. একলিঙ্গ প্রাণী এবং এদের যৌন দ্বিরূপতা দেখা যায়।
  10. শুধুমাত্র যৌন জনন ঘটে, অযৌন জনন ঘটে না।
Adenophorea - Alchetron, The Free Social Encyclopedia

শ্রেণীবিন্যাস:

শ্রেণী: অ্যাফ্যাসমিডা (Aphasmidia) :

ফ্যাসমিড (Phasmid) নামক পুচ্ছদেশীয় সংবেদন অঙ্গ (Caudal sensory organ) অনুপস্থিত। ওষ্ঠের পশ্চাতে বিভিন্ন আকৃতির অ্যামফিড (Amphid) নামক অগ্র প্রান্তীয় সংবেদন অঙ্গ (Anterior sensory organ) দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত রেচনঅঙ্গ অনুপস্থিত। উপস্থিত থাকলে তা উন্নত নয়। পুচ্ছদেশীয় আঠালো গ্রন্থি (Caudal adhesive gland) বর্তমান। অধিকাংশই মুক্তজীবী। উদাহরণ: Trichinella spiralis (চাবুক কৃমি)

Trichinella spiralis

শ্রেণী: ফ্যাসমিডা (Phasmidia) :


ফ্যাসমিড (Phasmid) নামক পুচ্ছদেশীয় সংবেদন অঙ্গ (Caudal sensory organ) উপস্থিত। ওষ্ঠের পার্শ্বে ছিদ্রের মত অ্যামফিড (Amphid) নামক অগ্র প্রান্তীয় সংবেদন অঙ্গ (Anterior sensory organ) বর্তমান। উন্নতমানের রেচনঅঙ্গ বর্তমান। পুচ্ছদেশীয় আঠালো গ্রন্থি (Caudal adhesive gland) অনুপস্থিত। অধিকাংশই পরজীবী। উদাহরণ: Loa loa (চোখ কৃমি), Ascaris lumbricodes (গোল কৃমি), Wuchereria bancrofti (ফাইলেরিয়া কৃমি), Enterobius vermicularis (গুড়া কৃমি)
Ascaris lumbricoides - Wikipedia

SOURCE : Wikipedia

প্লাটিহেলমিনথেস : পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য, আকার আকৃতি, শ্রেণীবিভাগ ইত্যাদি বিস্তারিত

 পর্বঃ প্লাটিহেলমিনথিস:

Platyhelminthes - Invertebrates

চ্যাপ্টা কৃমি (ইংরেজিFlatworm) বা পর্ব প্লাটিহেলমিনথেস (ইংরেজিPlatyhelminthes
গ্রিক শব্দ Platys অর্থাৎ Flat তথা চ্যাপ্টা এবং Helminths অর্থাৎ Worm তথা কৃমি বা কীট থেকে এসছে।

শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য:
  1. এদের দেহ অখণ্ডিত, দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম এবং উপর-নিচে (Dorso-ventrally) চাপা।
  2. দেহ অনেকটা ফিতা, পত্রাকার বা ফলকাকার মত।
  3. এরা ত্রিস্তর বিশিষ্ট (Triplobalstic) প্রাণী অর্থাৎ এদের ভ্রূণে তিনটি জার্মিনাল (Germinal) স্তর দেখতে পাওয়া যায়।
  4. দেহ-গহ্বর তথা সিলোম (Coelom) অনুপস্থিত এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহের মধ্যবর্তী স্থান মেসেনকাইম (Mesenchyme) নামক কলায় পূর্ণ।
  5. দেহ সিনস‍্যিটিয়াল পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে।
  6. রেচন অঙ্গ প্রোটোনেফ্রিডিয়াম এবং এখানে প্রচুর শিখা-কোষ(Flame cell) উপস্থিত যা রেচন কাজে অংশগ্রহণ করে।
  7. অধিকাংশ প্রাণীদের সম্মুখ প্রান্তে অবস্থিত হুকের (Hook) ন্যায় চোষক অঙ্গ পোষকদেহের সাথে আটকে থাকতে ব্যবহৃত হয়।
  8. পৌষ্টিকতন্ত্র অসম্পূর্ণ বা অনুপস্থিত।
  9. শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত।
  10. স্নায়ুতন্ত্র মইয়ের মতো।
  11. অযৌন ও যৌন পদ্ধতিতে জননকার্য করে
  12. জীবনচক্র একটি অথবা দুটি পোষকের মধ্যে ঘটে এবং একাধিক লার্ভা দশাযুক্ত।
flatworms - Encyclopedia of Life

শ্রেণীবিন্যাস:

প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের মোট ৩ টি শ্রেনী বিদ্যমান।

টারবেলারিয়া (Turbellaria): 

ল্যাটিন শব্দ Turbella অর্থ Stirring থেকে টারবেলারিয়া শব্দটি এসছে। পাতার মতো দেহে কিউটিকল অনুপস্থিত তবে এপিডার্মিস (Epidermis) সিলিয়াময় (Ciliated) এবং র‍্যাবডাইট (Rhabdite) বিশিষ্ট। চোষক অঙ্গ উপস্থিত অথবা অনুপস্থিত। মুখছিদ্র অঙ্কীয় দিকে উন্মুক্ত এবং পেশীময় গলবিলের (Muscular pharynx) মাধ্যমে অন্ত্রের (Intestine) সাথে যুক্ত। অধিকাংশই উভলিঙ্গ (Hermaphrodite) অর্থাৎ একই প্রাণীদেহে পুরুষ ও স্ত্রী প্রজনন অঙ্গ বর্তমান, অনেকেই অযৌন পদ্ধতিতে বংশ বিস্তার করে থাকে। চোষক (Sucker) অনুপস্থিত। মুক্তজীবী এবং লার্ভা (Larva) দশা অনুপস্থিত। স্থলচর (Terrestrial) বা জলচর (Aquatic), সামুদ্রিক বা স্বাদুপানিতে বসবাসকারী। সাধারণভাবে এরা এডিওয়ার্ম (Eddyworm) নামে পরিচিত। উদাহরণ: Dugesia tigrina (প্লানেরিয়া)
File:Flatworm (Pseudoceros dimidiatus) - Black Ray Channel, Pulau Kapalai,  Sabah, Malaysia (2).jpg - Wikimedia Commons

ট্রিমাটোডা (Trematoda):

গ্রিক শব্দ Trema অর্থ Hole তথা গর্ত বা বিবর বা কোটর এবং Eidos অর্থাৎ Form তথা আকার থেকে ট্রিমাটোডা শব্দটি এসছে। নলাকার বা চ্যাপ্টা পাতার মতো দেহে কিউটিকলের পুরু স্তর বর্তমান এবং সিলিয়া অনুপস্থিত। মুখছিদ্রকে পরিবৃত্ত করে অবস্থান করা একটি বৃহৎ চোষক অঙ্গ বর্তমান এবং অনেক সময় হুক (Hook) দেখতে পাওয়া যায়। একটি মুখছিদ্র এবং দুটি শাখায় বিভক্ত খাদ্যনালী উপস্থিত কিন্তু পায়ু (Anus) অনুপস্থিত। একাধিক লার্ভা (Larva) দশা উপস্থিত। সকলেই পরজীবী (বহিঃ অথবা অন্তঃ) এবং জীবনচক্র সম্পন্ন করতে পর্যায়ক্রমে মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী পোষকদেহে অবস্থান করতে হয়। অধিকাংশই উভলিঙ্গ (Monoecious) প্রাণী অর্থাৎ একই প্রাণীদেহে পুরুষ ও স্ত্রী প্রজনন অঙ্গ বর্তমান। সাধারণভাবে ফ্লুক (Fluke) নামে পরিচিত। উদাহরণ: Fasciola hepatica (যকৃত কৃমি)
Liver fluke | Fasciola hepatica | Britannica

সিস্টোডা (Cestoda):

গ্রিক শব্দ Kestos অর্থ Girdle তথা কটিবন্ধ এবং Eidos অর্থ Form তথা আকার থেকে সিস্টোডা শব্দটি এসেছে। এদের দেহ দীর্ঘ ও চ্যাপ্টা ফিতার মতো দেহে কিউটিকলের স্তর পুরু তবে সিলিয়া অনুপস্থিত এবং ৮০০-৯০০টি প্রোগ্লোটিড (Proglottid) নামক খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত। প্রতিটি খণ্ডাংশ এক বা দুই সেট পুরুষ অথবা স্ত্রী প্রজনন অঙ্গ বহন করে। দেহের অগ্র প্রান্তে চোষক অঙ্গ (Sucker) ও বাঁকা হুক (Hook) বিশিষ্ট স্কোলেক্স (Scolex) বর্তমান। মুখছিদ্র ও খাদ্যনালী অনুপস্থিত। সংবেদী অঙ্গ (Sense organ) অনুপস্থিত। একাধিক লার্ভা (Larva) দশা উপস্থিত। সকলেই অন্তঃপরজীবী এবং জীবনচক্র সম্পন্ন করতে এক বা একাধিক পোষকদেহে অবস্থান করতে হয়। সাধারণভাবে এরা টেপওয়ার্ম (Tapeworm) নামে পরিচিত। উদাহরণ: Taenia solium (ফিতা কৃমি)

Cestoda - Alchetron, The Free Social Encyclopedia


SOURCE : Wikipedia

নিডারিয়া : পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য, আকার আকৃতি, শ্রেণীবিভাগ ইত্যাদি বিস্তারিত

 পর্বঃ নিডারিয়া

Difference Between Cnidaria and Ctenophora | Definition, Characteristics,  Similarities and Differences

নিডারিয়া বলতে ডিপ্লোব্লাস্টিক (Diploblastic) প্রাণী অর্থাৎ দ্বিস্তর ভ্রূণ বিশিষ্ট প্রাণিদের কে বোঝায়। এরা ইতিপূর্বে সিলেনটারেটা (Coelenterata) নামে পরিচিত ছিলো। এদের অধিকাংশই সামুদ্রিক, কিছু স্বাদুপানির বাসিন্দা। গ্রিক শব্দ Knide অর্থ রোম বা কাঁটা এবং Aria অর্থ সংযুক্ত থাকা। এ শব্দদুটির সমন্বয়ে নিডেরিয়া (Cnidaria) শব্দটি তৈরি হয়েছে। ১৮৮৮ সালে বিজ্ঞানী হাসচেক (Hatschek) প্রথম নিডেরিয়া (Cnidaria) পর্বটির নামকরণ করেন।বিচিত্র বর্ণময়তার কারণে এই পর্বের সদস্যরা সমুদ্রকে বর্ণিল রূপদানে সব চেয়ে বেশি অবদান রেখেছে । প্রবাল ও প্রবাল প্রাচীর গঠনকারী প্রাণিরা এই পর্বের সদস্য । এজন্য নিডেরিয়ান প্রাণিদের সমুদ্রের ফুল (flower of the sea ) বলা হয়।


বৈশিষ্ট্য
কিছু কোষ কলা (যেমন- স্নায়ুকলা) গঠন করলেও অধিকাংশ কোষই বিচ্ছিন্ন তবে সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য বিশেষায়িত।
  1. দ্বিস্তরীয় (Diploblastic) প্রাণী অর্থাৎ এদের ভ্রূণ দ্বিস্তর বিশিষ্ট। বাহিরের স্তর এক্টোডার্ম (Ectoderm) এবং ভেতরের স্তর এন্ডোডার্ম (Endoderm)। এই দুই কোশস্তরের মধ্যে তরল জেলির মতো অকোশীয় মেসোগ্লিয়া (Mesoglea) নামে ধাত্র বা পদার্থ থাকে।।
  2. পূর্ণাঙ্গ প্রাণীও দ্বিস্তর তথা দ্বিত্বক বিশিষ্ট। দেহের ভেতরে প্রশস্ত গহ্বর যা গ্যাস্ট্রোভ্যাস্কুলার গহ্বর (Gastrovascular cavity) বা সিলেন্টেরন (Coelenteron) নামে পরিচিত এবং এটি একটি মাত্র ছিদ্র পথে (মুখছিদ্র) বাইরে উন্মুক্ত (পায়ু ছিদ্র অনুপস্থিত)।
  3. দেহঅরীয় প্রতিসম (Radial symmetry) অর্থাৎ এদের দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত একটিমাত্র তল বরাবর ছেদ করে দুই বা ততোধিক বার দেহটিকে সমভাবে ভাগ করা যায়।
  4. বহিঃ দেহত্বকে (Epidermis) মুখছিদ্রকে ঘিরে প্রচুর পরিমাণে নিডোব্লাস্ট (Cnidoblast) নামক কোষ বর্তমান যার মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ বহন করা নিমাটোসিস্ট (Nematocyst) নামক একটি থলি এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রয়োগ করার জন্য থ্রেড টিউব (Thread tube) নামক চাবুকের মত নল থাকে।
  5. আসিলোমেট (Acoelomate) প্রাণী, অর্থাৎ দেহগহ্বর বা সিলোম এখানে অনুপস্থিত।
  6. একাকী অথবা উপনিবেশ গঠন করে অবস্থান করে। নিশ্চল অথবা মুক্ত সাঁতারু। অনেকের শুধুমাত্র মুক্ত বা নিশ্চল পলিপ (Polyp) দশা বর্তমান। আবার অনেকের মুক্ত সাঁতারু মেডুসা (Medusa) দশা বর্তমান। আবার অনেকের উভয় দশা সমন্বিত পলিমরফিসম (polymorphism) দেখা যায়।
  7. এই পর্বের প্রাণিদের মধ্যে জনুক্রম বা মেটাজেনেসিস (Metagenesis) পরিলক্ষিত হয়।
  8. বহিঃকোষীয় ও অন্তঃকোষীয় উভয় প্রকার পরিপাক প্রক্রিয়া এদের দেহে দেখতে পাওয়া যায়।
  9. কিছু স্নায়ুকোষ এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্মে জাল বিস্তার করে থাকে।
  10. সংবহনতন্ত্র, শ্বসনতন্ত্র ও রেচনতন্ত্র অনুপস্থিত।
  11. জীবনচক্রে সিলিয়াযুক্ত প্লানুলা লার্ভা (Planula larva) দেখা যায়।
sea anemones, water lilies, ocean, seenelken, cnidarian, tentacles,  aktinien, anthozoa, sea, animal, abyss | Pikist

শ্রেণীবিভাজন

  1. হাইড্রোজোয়া (Hydrozoa)
  2. স্কাইফোজোয়া (Scyphozoa)
  3. অ্যান্থোজোয়া (Anthozoa)
    1. হেক্সাকোরালিয়া (Hexacoralia)
    2. অক্টোকোরালিয়া (Octocoralia)
  4. কিউবোজোয়া (Cubozoa)

File:2018. Cnidaria. Medusa. Loro parque. Tenerife-2.jpg - Wikimedia Commons

শ্রেণীবিন্যাস
১৯৪০ সালের (H. L. Hyman এর) শ্রেণীবিভাজন অনুযায়ী পর্ব নিডারিয়ায় হাইড্রোজোয়াস্কাইফোজোয়া এবং অ্যান্থোজোয়া নামে তিনটি শ্রেণী ছিল। ১৯৭২ সালে বিজ্ঞানী মেগলিস (Meglitsch) প্রদত্ত নিডেরিয়া পর্বের শ্রেণীবিন্যাস করেন। Ruppert ও Bernes ১৯৯৪ সালে পর্ব নিডারিয়াকে চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেন এবং কিউবোজোয়া শ্রেণীটি সংযোজিত হয়।

শ্রেণী: হাইড্রোজোয়া (Hydrozoa):

গ্রিক শব্দ Hydra যার আভিধানিক অর্থ Water তথা পানি এবং Zoios যার আভিধানিক অর্থ animal তথা প্রাণী এ শব্দদুটির সমন্বয়ে হাইড্রোজোয়া (Hydrozoa) শব্দটি তৈরি হয়েছে। অনেকের জীবনচক্রে কেবলমাত্র পলিপ (Polyp) দশা বর্তমান, অনেকের আবার অযৌন পলিপ (Polyp) ও যৌন মেডুসা (Medusa) উভয় দশাই উপস্থিত। মেসোগ্লিয়া (Mesogloea) কোষ-বিহীন (Non-cellular)। জননকোষ উৎপাদন অঙ্গ (Gonad) এক্টোডার্ম (Ectoderm) থেকে উদ্ভূত। স্বাদুপানি অথবা সামুদ্রের বাসিন্দা এবং নিশ্চল অথবা মুক্ত সাঁতারু। উদাহরণ: Hydra virdisObelia geniculata
File:Hydrozoa Rakitu-Island MNP9142 NIWA101027 edited.jpg - Wikimedia  Commons

শ্রেণী: স্কাইফোজোয়া (Schyphozoa):

গ্রিক শব্দ Skyphos যার আভিধানিক অর্থ Cup তথা কাপ এবং Zoios যার আভিধানিক অর্থ animal তথা প্রাণী এ শব্দদুটির সমন্বয়ে স্কাইফোজোয়া (Schyphozoa) শব্দটি তৈরি হয়েছে। এদের জীবনচক্রে মেডুসা (Medusa) দশাই প্রধান, পলিপ (Polyp) দশা অনুপস্থিত বা স্বল্পস্থায়ী। মেডুসা দশায় দেহ ঘণ্টা অথবা ছাতা আকৃতির। জননকোষ উৎপাদন অঙ্গ (Gonad) এন্ডোডার্ম (Endoderm) থেকে উদ্ভূত। বৃহৎ আকৃতির মেসোগ্লিয়ায় (Mesogloea) তন্তু (Fibers) ও কোষ বর্তমান। নিশ্চল এবং সামুদ্রিক। উদাহরণ: Aurelia auritaCyania capillata
Jellyfish - Wikipedia

শ্রেণী: অ্যান্থোজোয়া (Anthozoa):

গ্রিক শব্দ Anthos যার আভিধানিক অর্থ flower তথা ফুল এবং Zoios যার আভিধানিক অর্থ animal তথা প্রাণী এ শব্দদুটির সমন্বয়ে অ্যান্থোজোয়া (Anthozoa) শব্দটি তৈরি হয়েছে। এদের জীবনচক্রে কেবলমাত্র পলিপ দশা উপস্থিত। মেডুসা দশা অনুপস্থিত। মেসোগ্লিয়ায় (Mesogloea) তন্তুময় যোজক কলা (Fibrous connective tissue) বর্তমান। জননকোষ উৎপাদন অঙ্গ (Gonad) এন্ডোডার্ম (Endoderm) থেকে উদ্ভূত। একাকী অথবা উপনিবেশ গঠনকারী প্রাণীরা সকলেই সামুদ্রিক। উদাহরণ: Metridium senilGorgoni verrucosa
Anthozoa - Alchetron, The Free Social Encyclopedia

SOURCE : Wikipedia

অ্যানিলিডা : পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য, আকার আকৃতি, শ্রেণীবিভাগ ইত্যাদি বিস্তারিত

  Nereis pelagica


অ্যানিলিডা :

অঙ্গুরীমাল বা অ্যানিলিডা‌ (Annelida, from Greek anellus, "little ring") প্রাণীরাজ্যের একটি পর্ব। এদের নলাকার, খণ্ডিত দেহ দেখতে ছোট ছোট আংটির (অঙ্গুরী) মালার মতো, তাই নাম "অঙ্গুরীমাল"। উদাহরণ কেঁচোজোঁকনেরিস


বৈশিষ্ট্য :

  • দেহ অনেকগুলি আংটির মতো খণ্ড নিয়ে গঠিত এবং এগুলিকে মেটামিয়ার (metamere) বা সোমাইট (somite) বলে।
  • দেহ ত্রিস্তর কোশযুক্ত (triploblastic), অর্থাৎ এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম ও এন্ডোডার্ম কোশ দিয়ে গঠিতএবং দ্বিপার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম।
  • বহিঃস্তক কিউটিকল (cuticle) আবরণীযুক্ত।
  • মেসোডার্ম কোশ আবৃত প্রকৃত সিলোম বা দেহ গহ্বর বর্তমান, যা সেপ্টাম বা পর্দা দিয়ে খণ্ডিত থাকে।
  • রেচন অঙ্গ হলো নেফ্রিডিয়া (nephridia), যা প্রায় প্রতি খণ্ডে থাকে।
  • গমন অঙ্গ সিটা (seta) বা প্যারাপোডিয়া (parapodia) বা দেহ পেশী।
  • দেহ লম্বাকৃতি; মুখছিদ্র ও পায়ুছিদ্র দেহের দু'প্রান্তে উপস্থিত থেকে।
  • উন্নত ও বদ্ধ রক্তসংবহনতন্ত্র। রক্তরসে হিমোগ্লোবিন বা এরিথ্রোক্রুওরিন (erythrocruorin) নামক শ্বাসরঞ্জক থাকে। এই কারণে এদের রক্তের বর্ণ লাল।
  • সাধারণত সম্পূর্ণ ত্বক দিয়ে শ্বাসকার্য চালায় তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফুলকা দিয়ে শ্বসনক্রিয়া চলে। ত্বক সিক্ত ও রক্তজালকপূর্ণ হওয়ায় ত্বকীয় শ্বাসকার্য সম্ভব।
  • অন্ত্র পরিবেষ্টিত স্নায়ুবলয় বা নার্ভরিং ও অঙ্কীয় স্নায়ুরজ্জু দিয়ে স্নায়ুতন্ত্র গঠিত হয়।
  • অধিকাংশ প্রাণী উভলিঙ্গ, কয়েকটি প্রাণী একলিঙ্গ।
  • চলন অঙ্গ সিটা (seta) অথবা প্যারাপোডিয়া (parapodia)।


বিভাগ :

আনুবীক্ষণিক আকারের থেকে ৩ মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ অষ্ট্রেলিয়ান জাইণ্ট গিপ্সল্যান্ড আর্থয়র্ম (giant Gippsland earthworm) এবং এমিন্থাস মেকংজিয়ানাস পর্যন্ত (Amynthas mekongianus) এনিলিডা প্রাণীর প্রায় ২২,০০০ জীবিত প্রজাতি আছে। অনেক পাঠ্যপুস্তকে এখনও বর্গীকরণের পরম্পরাগত বিভাগসমূহকেই ব্যবহার করতে দেখা যায়। সেই অনুযায়ী এনিলিডা প্রাণীর অন্তর্গত উপ−ভাগ সমূহ হল:
  • শ্রেণী: পলিকিটা (অধিকাংশই সামুদ্রিক)
  • শ্রেণী: ক্লাইটেলাটা:
    • উপশ্রেণী: অলিগোকিটা (উদাহরণ কেঁচো)
    • উপশ্রেণী: হিরুডিনিয়া (জোঁক)
  • পলিকিটা (প্রায় ১২,০০০ প্রজাতি)। এর দেহ খণ্ডগুলিতে অনেক কিটা ("লোম") থাকে। পলিকিটার পদ (ভরি) হিসাবে ব্যবহার হওয়া প্যারাপোডিয়া থাকে এবং সম্ভবত রসায়ন সংবেদী হিসাবে ব্যবহার হওয়া নিউসেল অরগান থাকে। বেশীরভাগই সামুদ্রিক, কিছু অল্প জলে অন্যদিকে অতি কমসংখ্যক মাটিতে বাস করে।
  • ক্লাইটেলাটা (প্রায় ১০,০০০ প্রজাতি)। এর প্রতিটি দেহখণ্ডে অতি কম কিটা থাকে বা কিছুর একেবারে থাকে না, এবং কোনো নিউসেল অরগান এবং প্যারাপোডিয়া। এর দেহে আংটি সদৃশ অনন্য প্রজনন অংগ থাকে, এইগুলিকে ক্লাইটেলাম বলে। এতে কণা ফুটে পোয়ালী নুলুয়া পর্যন্ত নিষিক্ত কণাগুলি সংরক্ষণ তথা পোষিত হয়ে থাকে। নতুবা, মনিলিগেষ্ট্রাইডের ক্ষেত্রে, ভ্রুণকে পোষণের যোগান দেয়া কোষ পরস থাকেসমূহ হল:
  1. অলিগোকিটা ("কম লোম থাকা"), কেঁচো এমন প্রাণীর উদাহরণ। Oligochaetes have a sticky pad in the roof of the mouth. এই গোষ্ঠীর প্রায়সব জীব গর্ত খুঁড়ে বাস করে এবং জৈব পদার্থের পূর্ণ বা আংশিক পচন ঘটিয়ে পোষণ লাভ করে।
  2. হিরুডিনিয়া, নামের অর্থ হল "জোঁক-সদৃশ" এবং জোঁক হল এই পর্বের জীবের সুন্দর উদাহরণ। সামুদ্রিক প্রাণীগুলির বেশিরভাগই রক্ত শোষণ করা পরজীবি, প্রধানত মাছের রক্ত শোষণ করে, অন্যদিকে অল্প জলে বাস করা গুলির মধ্যে বেশিরভাগই শিকারী ধরনের। এর দেহের দুই দিকে রক্ত শোষণ করা শোষক থাকে, এই গুলির সহায়তায় চলাচলও করে।

 আর্কানেলিডা নামের অবশেষের দানায় বাস করা সূক্ষ্ম এনিলিডা প্রাণী গুলিকে তাঁদের ক্ষুদ্র গঠনের জন্য আগে আলাদা শ্রেণী হিসাবে গণ্য করা হত, কিন্তু এখন পলিকিটার মধ্যে ধরা হয়। বর্তমানে এনিলিডা প্রাণীর মধ্যে ধরা অন্য কিছু প্রাণী গোষ্ঠীকে আগে বিভিন্ন ধরনে বর্গীকরণ করা হত৷ যেমন:
  • পগনোফরা / সাইবগলিনিডিয়া (Siboglinidae) : ১৯১৪ সালে প্রথম আবি হয়েছিল, এবং তাঁদের শনাক্ত করতে খাদ্য নালি না থাকার জন্য বর্গীকরণের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। একে পৃথক পর্ব হিসাবে গণ্য করা হত, পগন'ফরা বা, পগনোফরা এবং ভেষ্টিমেণ্টিফেরা নামক দুটি পর্ব হিসাবে। বর্তমানে একে পলিকিটার অন্তর্গত সাইবগলিনিডিয়া নামক একটা পরিবারে ধরা হয়।[
  • একিউরা (Echiura) : ১৯শ শতকে কিছু প্রাণীকে "গেফাইরিয়া (Gephyrea)" নামক একটা পর্বে গণ্য করা হয়েছিল, যেগুলিকে পরে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত এনিলিডা প্রাণী হিসাবে ধরা হত যদিও পুণরায় তাঁদেরকে পৃথক পর্ব হিসাবে ধরা হয়েছিল; কিন্তু ১৯৯৭ সালে করা কিছু বিশ্লেষণের পরে সেগুলি এনিলিডা প্রাণী বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
  • মাইজোষ্টমিডা (Myzostomida) : ক্রিনোইড এবং অন্য কণ্টকচর্মীতে পরজীবি হিসাবে বাস করে। আগে এদেরকে আলাদা গোষ্ঠীতে ধরা হয়েছিল। এদেরকে ত্রিমাটড নামক একধরনের চ্যাপ্টা কৃমির সম্পর্কীয় বা টার্ডিগ্রেড হিসাবে গণ্য করা হয়েছিল, কিন্তু ১৯৯৮ সাল থেকে এদেরকে পলিকিটার উপগোষ্ঠী হিসাবে ধরা হয়।
  • সাইপুনকুলা : প্রথমে এনিলিডা প্রাণী হিসাবে গণ্য করা হয়েছিল, দেহ খণ্ডিত না হওয়া এবং অন্য বহু কারণের জন্য পরে এদেরকে কোমলদেহী পর্বত অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

পরিস্থিতিতান্ত্রিক গুরুত্ব :

চার্লস ডারউইন-এর "দ্য ফরমেশন অব ভেজেটেবল মল্ড থ্রু এক্সন অব ওয়র্ম (The Formation of Vegetable Mould through the Action of Worms) " (১৮৮১) নামক বইতে মাটির উর্বরতা সম্পর্কে প্রথম বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছিল। কেঁচোগুলির কিছু মাটির তলায় এবং কিছু ছোটপাতার মাঝে বাস করে। কেঁচো মাটিতে থাকা জৈবিক বস্তুগুলি পচন ঘটিয়ে কেঁচো সার তৈরী করে।

Posted By : Nahidul Islam Sagor Srk Source : Wikipedia

পরিফেরা : পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য, আকার আকৃতি, শ্রেণীবিভাগ ইত্যাদি বিস্তারিত

Sea sponges collect DNA from fish, penguins, seals | Earth | EarthSky


পরিফেরা:

প্রাণিজগতের এই পর্বের (phylum) প্রাণীরা সাধারণত স্পঞ্জ নামে পরিচিত। এরা সাধারণত সামুদ্রিক এবং অপ্রতিসম (asymmetrical) প্রাণী। এরা আদিম বহুকোষী প্রাণী।

 পরিফেরা (ইংরেজি:Porifera) যার সাধারণ নাম স্পঞ্জ (ইংরেজি:Sponge) হল এক জাতীয় বহুকোষী প্রাণী। ল্যাটিন শব্দ Porus অর্থ ছিদ্র এবং Ferre অর্থ বহন করা। এ শব্দ দুটির সমন্বয়ে পরিফেরা (Porifera) শব্দটি তৈরি হয়েছে।
 ১৮৩৬ সালে বিজ্ঞানী গ্রান্ট (Grant) প্রথম পরিফেরা (Porifera) পর্বটির
 নামকরণ করেন।

Sea sponges were Earth's first animals - Business Insider

শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য :

  1. বহুকোষী দেহে সুনির্দিষ্ট কলা, কলাতন্ত্র, অঙ্গ এবং অঙ্গতন্ত্র অনুপস্থিত।
  2. প্রধানত অসাম্য দেহ, অর্থাৎ দেহকে কোনো দিক থেকে সমানভাবে ভাগ করা যায় না।
  3. দেহে নালিকাতন্ত্র (Canal system) বর্তমানে যা এ পর্বের অনন্য বৈশিষ্ট্য।
  4. দেহের অভ্যন্তরে কোয়ানোসাইট কোষ দ্বারা আবৃত স্পঞ্জোসিল (Spongocoel) নামক প্রশস্ত গহ্বর বর্তমান যা অসক্যুলাম (Osculum) নামক বড় আকারের ছিদ্রের মাধ্যমে বাহিরে উন্মুক্ত।
  5. দেহপ্রাচীর অস্টিয়া (Ostia) নামক অসংখ্য ক্ষুদ্রাকৃতির ছিদ্র বিশিষ্ট, এগুলি পোরোসাইট (porocyte) নামক কোষ দ্বারা নির্মিত।
  6. দেহে ফ্ল‍্যাজেলা বিশিষ্ট কোশ পিনাকোসাইট ষ্টিত এক বা একাধিক প্রকোষ্ঠ (Chamber) বর্তমান।
  7. এদের দেহ ফুলদানি আকৃতির (Vase-like), সিলিন্ডার আকৃতির (Cylindrical), নলাকার (Tubular), কুশন আকৃতির (Cushion-shaped) ইত্যাদি এবং প্রতিসাম্যতা (Symmetry) অপ্রতিসম (Asymmetry) অথবা অরিয় প্রতিসম (Radial symmetry) ধরনের।
  8. দেহপ্রাচীর দ্বিস্তর বিশিষ্ট। বাহিরের স্তর পিনাকোডার্ম (Pinacoderm) এবং ভেতরের স্তর কোয়ানোডার্ম (Choanoderm)। উভর স্তরের মাঝে সাধারণত অকোশীয় (Non-cellular) মেসেনকাইম (Mesenchyme) ধাত্র বর্তমান যাতে স্পিকিউল (Spicule), স্পঞ্জিন (Spongin) ও অ্যামিবয়েড (Amoeboid) কোশ দেখতে পাওয়া যায়।
  9. পরিণত প্রাণীরা নিশ্চল (Sessile) অর্থাৎ কোন অবকাঠামোতে স্থায়ীভাবে আটকে থাকে।
  10. দেহে মুখছিদ্র বা পায়ুছিদ্র থাকে না।
  11. এরা একাকী (Solitary) অথবা উপনিবেশ (Colonial) গঠন করে অবস্থান করে।
  12. সকলেই জলজ প্রাণী যাদের বেশিরভাগ সামুদ্রিক সামান্য কিছু প্রজাতি স্বাদুজলের।
  13. সকল স্পঞ্জই উভলিঙ্গ (Hermaphrodite) হলেও এরা Allogamy তথা cross-fertilization প্রদর্শন করে অর্থাৎ একই দেহে স্ত্রী ও পুরুষ জননকোষ উৎপন্ন হলেও দুটি ভিন্ন সদস্যের স্ত্রী ও পুরুষ জননকোষের মাধ্যমে নিষেক (Fertilization) সম্পন্ন হয়।
  14. এদের অযৌন প্রজনন কোরক উৎপাদন বা বাডিং (Budding), দ্বিবিভাজন বা ফিশন (Fission) এবং গেমিউল গঠন (Gemmule formation) ধরনের এবং যৌন প্রজনন গ্যামেটোগনি (Gametogony) প্রকারের।
  15. এই সকল প্রাণীর পুনরুজ্জীবন ক্ষমতা প্রচুর। দেহের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের পুনঃ উৎপত্তির (Regeneration) ক্ষমতা বর্তমান।
  16. এরা আসিলোমেট বা সিলোমবিহীন প্রানী
Giant barrel sponges (Xestospongia muta) on a reef in the Bahamas ...

শ্রেণীবিন্যাস :

১৯৭২ সালে বিজ্ঞানী মেগলিস (Meglitsch) প্রদত্ত পরিফেরা পর্বের শ্রেণীবিন্যাস মূলত অন্তঃকঙ্কালের উপর ভিত্তিকরে নির্মিত।

শ্রেণী: ক্যালকেরিয়া (Calcarea) :

Calcareous sponge - Wikipedia, the free encyclopedia | Sponge ...

 ল্যাটিন শব্দ Calx যার আভিধানিক অর্থ Lime তথা চুন থেকে ক্যালকেরিয়া শব্দটি এসেছে। ছোট আকৃতির চুনায়িত (Calcareous) স্পঞ্জ দৈর্ঘ্যে ১০ সেমি এর চেয়ে ছোট হয়ে থাকে। দেহাকৃতি সিলিন্ড্রাকাল (Cylindrical) বা ফুলদানী (Vase-like) আকৃতির। একাকী (Solitary) বা উপনিবেশে (Colonial) অবস্থান করে। স্পিকিউল (Spicule) চুন (Lime) নির্মিত এবং এক/তিন/চার রশ্মি (Rayed) বিশিষ্ট। ফ্লাজেলাম প্রকোষ্ঠ লম্বা আকৃতির। কোয়ানোসাইট (Choanocyte) নামক কোষগুলো আকৃতিতে বড়। সকলেই সামুদ্রিক। উদাহরণ: Sycon gelatinosum.

শ্রেণী: হেক্সাটিনেলিডা (Hexactinellida) :

What is a glass sponge?

কাপ (Cup), গোলাকার বা ফুলদানী আকৃতির স্পঞ্জ তুলনামূলক বৃহৎ, অনেকে এক মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। স্পিকিউল (Spicule) সিলিকা নির্মিত (Siliceous) এবং ছয় রশ্মি (Rayed) বিশিষ্ট। ডার্মাল এপিথেলিয়াম (Dermal epithelium) বা এক্সোপিনাকোর্ডাম (Exopinacoderm) অনুপস্থিত। ফ্লাজেলাম প্রকোষ্ঠ ডিম্বাকৃতির কোয়ানোসাইট (Choanocyte) নামক কোষগুলো আকৃতিতে ছোট। সকলেই সামুদ্রিক, অনেকেই গভীর সমুদ্রের বাসিন্দা। উদাহরণ: Euplectella aspergillus.

শ্রেণী: ডেমোস্পঞ্জি (Demospongiae) :

File:Sponges in Caribbean Sea, Cayman Islands.jpg - Wikimedia Commons

গ্রিক শব্দ Demose যার আভিধানিক অর্থ Frame তথা কাঠামো এবং Spongos যার আভিধানিক অর্থ Sponge তথা স্পঞ্জ থেকে ডেমোস্পঞ্জি শব্দটি এসছে। কোয়ানোসাইট (Choanocyte) নামক কোষগুলো আকৃতিতে ছোট। ফ্লাজেলাম প্রকোষ্ঠ গোলাকার বা বৃত্তাকার। অনেক প্রাণীতে স্পিকিউল অনুপস্থিত। যাদের বর্তমান তাদের স্পিকিউল সিলিকাজাত (Siliceous) বা স্পঞ্জিন-তন্তু (Spongin fibre) নির্মিত অথবা সিলিকা ও স্পঞ্জিন তন্তুর সমন্বয়ে গঠিত এবং এক বা ছয় রশ্মি (Rayed) বিশিষ্ট। ছোট থেকে বৃহৎ আকারের দেহ ফুলদানী আকৃতির (Vase-like), কাপ আকৃতির (Cup-like), কুশন আকৃতির (Cushion-shaped) এবং এরা একাকী (Solitary) অথবা উপনিবেশ (Colonial) গঠন করে অবস্থান করে। অধিকাংশই সামুদ্রিক, কিছু স্বাদুপানির বাসিন্দা। উদাহরণ: Spongilla locustris.

Source : Wikipedia